সোমবার, ০৪ আগস্ট ২০২৫ ।। ২০ শ্রাবণ ১৪৩২ ।। ১০ সফর ১৪৪৭

শিরোনাম :
ইসলামি দলগুলোর ঐক্য-সমঝোতা কতদূর? গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে খেলাফত মজলিস ঢাকা মহানগরী উত্তর-এর সমাবেশ  আদর্শিক বিরোধে গণ-অভ্যুত্থানে কারো অবদান অস্বীকার করা উচিত নয় : মাহফুজ আলম ইসলামি চার রাজনৈতিক দলের লিয়াঁজো কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত ‘স্বৈরতন্ত্র ও স্বৈরতান্ত্রিক বন্দোবস্তের স্থায়ী বিলোপের জন্য ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে’ মোবাইলে লাউডস্পিকারে কথা বলা; ইসলাম কি বলে: শায়খ আহমদুল্লাহ জুলাই গণঅভ্যুত্থান ছিল দুঃশাসনের বিরুদ্ধে জনতার বিস্ফোরণ: রাষ্ট্রপতি মাহাথির মোহাম্মদের সঙ্গে ড. শোয়াইব আহমদের সৌজন্য সাক্ষাৎ ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ পাঠ করবেন প্রধান উপদেষ্টা সব ধরনের দূষণ রোধে আলেম-ওলামার সহযোগিতা চায় সরকার

‘প্রবাসীদের হয়রানী বন্ধ এবং তাদের সমস্যা  লাঘবে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে’

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় মহিলা ও পরিবার কল্যাণ সম্পাদক, ইসলামী যুব আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সভাপতি যুবনেতা মাওলানা মোহাম্মদ নেছার উদ্দিন বলেছেন, প্রবাসীদের হাড়ভাঙ্গা পরিশ্রমে দেশের অর্থনৈতিক চাকা সচল হয়। প্রবাসীরা দেশপ্রেমে উদ্ধুদ্ধ হয়ে হাজার হাজার কোটি টাকার রেমিট্যান্স দেশে পাঠিয়ে দেশকে অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধকরণে ভুমিকা পালন করছেন। অথচ এই প্রবাসীরা প্রতিটি সেক্টরে নানাবিদ হয়রানীর শিকার হন। পাসপোর্ট নবায়নে সমস্যা, ছুটিতে দেশে গেলে এয়ারপোর্টের কর্মকর্তা কর্মচারীরা তাদেরকে মানুষই মনে করে না। তাদের সাথে যা তা ব্যবহার করেন। তাদের সামানাপত্র ফিক্কা মেরে ফেলেন, লাগেজ আটকে রাখেন, লাগেজ খুলে মালামাল নিয়ে যাওয়ার ঘটনাও অহরহ। এভাবে নানাবিদ সমস্যায় প্রবাসীরা জর্জরিত।

মাওলানা নেছার উদ্দিন বলেন, প্রবাসে অবস্থিত বাংলাদেশের দূতাবাস কর্মকর্তারাও অত্যন্ত খারাপ ব্যবহার করে থাকেন তাদের সাথে। পাসপোর্ট নবায়নে গড়িমসি করে হয়রানী করে থাকেন। প্রবাসীরা কাগজপত্রের সমস্যা, কাজের সমস্যা ও ইকামার সমস্যায় বেশি ভোগেন। বিদেশে কোন প্রবাসী শ্রমিক কোন সমস্যায় পড়লে দূতাবাসে জানালেও তারা খুব কমই কেয়ার করেন। এগুলো সমাধানে দূতাবাস উদ্যোগ নিলে খুব সহজেই সমাধান করা যায়। প্রবাসীদের সাথে খারাপ আচরণ করলে তারা কীভাবে প্রবাসে থাকবে। এমনিই তো প্রবাস জীবন খুব কঠিন জীবন। বাবা-মা, ভাই-বোন, স্ত্রী, সন্তান ফেলে রেখে জীবন যুদ্ধে বেঁচে থাকার তাগিদে বিদেশে পাড়ি জমান। এরমধ্যে যদি সরকারের বিভিন্ন্ন সেক্টরে হয়রানী ও সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়, তাহলে বিদেশে যাওয়ার আগ্রহ হারিয়ে ফেলবেন অনেকে। এজন্য সবধরনের হয়রানী বন্ধ ও প্রবাসীদের সকল সমস্যা তড়িত সমাধানে কার্যকরি পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানানো হয়। 

আন্দোলন বাংলাদেশ সৌদী আরবের জেদ্দা আল-বাওয়াদী শাখার উদ্যোগে জেদ্দার সুক আল-বাওয়াদীর ভোজন বিলাসে আলোচনা সভা ও ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা ছিলেন জেদ্দা মহানগর সভাপতি শায়খ মোশাররফ হোসেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন সৌদী কেন্দ্রীয় কমিটির দপ্তর সম্পাদক মাওলানা আল-আমীন খলিফা, হাফেজ ইসমাঈল শরীফ,মাওলানা ফরহাদ উল্লাহ,হাজী কাওছার আহমদ।

সংগঠনের আল-বাওয়াদী শাখার সভাপতি মাওলানা শহীদুল্লাহর সভাপতিত্বে এবং সেক্রেটারী শেখ ফজলুল করীম নাঈমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত ঈদ পুনর্মিলনীতে বক্তব্য রাখেন, মাওলানা ইব্রাহিম খলিল,মাওলানা শামসুল হক ভূঁইয়া, হাফেজ মাওলানা এনায়েত উল্লাহ, মাওলানা আতাউল্লাহ,মাওলানা সা'দ উল্লাহ্, মুফতী হাবীবুল্লাহ মোখতার, হাফেজ কেরামত আলী, মাওলানা শেখ মহিউদ্দিন, জনাব এনামুল হক এনাম, এইচএম হারুনুর রশীদ, রুবেল আহমেদ, হাজী ওমর ফারুক বাবু, হাজী সাইফুল ইসলাম, হাফেজ বদিউল আলম, হাজী মকবুল হোসাইন, মাওলানা জাহাঙ্গীর আলম, শেখ আনিছুর রহমান আনিছ, মুহাম্মদ তারেক মজুমদার, নাজিম উদ্দিন, মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ, মুহাম্মদ ইয়াসিন, এম রিয়াদ হোসাইন, আব্দুল্লাহ্ আল মামুন, রাসেল হোসাইন প্রমুখ।

মাওলানা মোহাম্মদ নেছার উদ্দিন বলেন, বাংলাদেশ অর্থনৈতিকভাবে দেউলিয়ার পথে। ব্যাংকগুলো কতিপয় এমপি ও ব্যবসায়ী মিলে খালি করে দেয়া হয়েছে। হাজার হাজার কোটি টাকা ঋণখেলাপির বিরদ্ধে সরকার কোন ব্যবস্থা নিচ্ছেন না। দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হলে দেশ ভয়াবহ সঙকেট পরবে। প্রবাসীরা ঘাম জড়িয়ে দেশে টাাক পাঠায় আর সরকারের দুর্নীতিবাজ এমপি-মন্ত্রীরা বিদেশে টাকা পাচার করে বেগম পাড়া বানায়। এইতো তাদের দেশপ্রেম!

কেএল/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ