বুধবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৫ ।। ৩ বৈশাখ ১৪৩২ ।। ১৮ শাওয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
শোভাযাত্রায় অংশ না নেওয়ায় ইবির খালেদা জিয়া হলের ছাত্রীদের খাবার বন্ধ বানিয়াচংয়ে বোরো ধান কাটার উৎসব পদ্মার চরে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প, শতাধিক মানুষের চিকিৎসা সেবা শামীমাবাদ মাদরাসায় দাওরায়ে হাদীস জামাত ও ইফতেতাহী সবকের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ঢাকা-২ আসনে জামায়াত প্রার্থীর গাড়ি বহরে হামলার অভিযোগ আস-সুন্নাহর মাধ্যমে আবদুর রশিদের ভাগ্য ফেরার গল্প এবার ভোলায় ‘মার্চ ফর প্যালেস্টাইন’ জামাত আমির ও মার্কিন কূটনীতিকের বৈঠক: নির্বাচন ও মানবাধিকার নিয়ে আলোচনা দেশের চলমান পরিস্থিতিতে সমমনা ইসলামী দলসমূহের বৈঠক অনুষ্ঠিত প্রশাসন বিএনপির পক্ষে কাজ করছে, এ অবস্থায় নির্বাচন সম্ভব নয় : নাহিদ

সৌদি আরবে দুর্বৃত্তের গুলিতে প্রাণ গেছে বাংলাদেশি ইমামের

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

সৌদি আরবে দুর্বৃত্তের গুলিতে প্রাণ গেছে বাংলাদেশি ইমাম আল আমিনের (৩৬)। শুক্রবার রাতে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

শনিবার গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন তাঁর ফুফাতো ভাই ঝাউকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কামাল হোসেন সরকার।

আল আমিন নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলার মেঘনা নদীবেষ্টিত কালাপাহাড়িয়া ইউনিয়নের উলুকান্দি গ্রামের লাক মিয়ার ছেলে। পরিবারের ভাগ্য বদলাতে বছর পাঁচেক আগে সৌদি আরবে যান তিনি। দেশটির দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর জিজানের একটি কারখানার মসজিদে ইমামতি করতেন। পাশাপাশি গাড়ি ভাড়ায় নিয়ে মানুষের বাড়িতে খাবার সরবরাহ শুরু করেন। সেখানেই শুক্রবার রাতে দুর্বৃত্তের গুলিতে প্রাণ গেছে আল আমিনের।

এদিকে তাঁর মৃত্যুর সংবাদে উলুকান্দি গ্রামে চলছে শোকের মাতম। শান্ত ও ভদ্র ছেলে হিসেবে পরিচিত আল আমিনকে গুলি করে হত্যার খবরে বিস্মিত প্রতিবেশী ও স্বজনরা।

মা ফুল মেহের ছেলের সঙ্গে সর্বশেষ কথার স্মৃতিচারণ করে বলেন, শুক্রবার তারাবি নামাজ শেষে আল আমিন তাঁকে কল করে বলেছিল, ‘মা, আমি গাড়ি নিয়ে বের হয়েছি। কাজ শেষে আপনাকে আবার ফোন দেব।’

প্রতিবেশী সাদ্দাম হোসেন জানান, এক বোন ও তিন ভাইয়ের সংসারে আল আমিন সবার বড়। হাফেজি পড়াশোনা করেছিলেন। কোনো কিছুতেই সাফল্য না পেয়ে ভাগ্য ফেরাতে ধারদেনা করে ৫ বছর আগে সরকারিভাবে তিনি সৌদি আরবে যান। মাঝেমধ্যে ছুটি নিয়ে বাড়িতে আসতেন।

জানা গেছে, সর্বশেষ গত বছরের নভেম্বরে বাড়িতে এসেছিলেন আল আমিন। তখন স্থায়ীভাবে দেশেই থেকে যাওয়ার চিন্তা করছিলেন। কিন্তু এলাকায় কোনো কাজের ব্যবস্থা হয়নি। তাই সংসার পরিচালনা নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়ে যান। সামগ্রিক অবস্থা বিবেচনা করে আল আমিন ছুটি শেষ হওয়ায় আগেই গত ৬ ফেব্রুয়ারি ফের সৌদি আরবে যান।

অভিবাসী কর্মী উন্নয়ন প্রোগ্রামের (ওকাপ) আড়াইহাজার জোনের ফিল্ড অফিসার আমিনুল হক বলেন, আল আমিনের মৃত্যুর বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহের জন্য তাদের কর্মীদের বাড়িতে পাঠানো হয়েছে। এসব নিয়ে আল আমিনের মরদেহ দেশে আনা, বিদেশে ন্যায়বিচার প্রাপ্তির বিষয়ে কাজ শুরু করবেন। তারা সর্বোচ্চ চেষ্টা করবেন এ বিষয়ে পরিবারকে ক্ষতিপূরণ আদায় করে দিতে।

হাআমা/


সম্পর্কিত খবর



সর্বশেষ সংবাদ