|| আলী হাসান উসামা ||
হেফাজত যেমন নেতাসর্বস্ব দল, সুনির্দিষ্ট কর্মী নেই। একইভাবে এনসিপিও নেতাসর্বস্ব দল, কার্যত এর কর্মী তেমন নেই। তবে হেফাজত ডাক দিলেই লাখো লোক চলে আসে এবং এই আসতে পারাকে নিজেদের জন্য সৌভাগ্যের বিষয় মনে করে। অপরদিকে এনসিপির ডাকে জনসাধারণ তো দূরের কথা, দলের নেতারাই সকলে আসেনি। রাজধানীতেই যদি হয় এই অবস্থা; তাহলে মফস্বলগুলোতে অবস্থা কী হবে আর ভোটের রাজনীতিতেই বা কীভাবে এগোবে?
মসজিদগুলোতে যেমন কমিটির সদস্যরাই ঠিকভাবে নামাজে আসে না, তাদেরও পরিণতি হয়েছে এমনটাই। না হলে নেতাসর্বস্ব এই দলের সব নেতা এলেও উপস্থিতি আরও বেশি হতো। অবশ্য জাশি (জামায়াত-শিবির) লোক সাপ্লাই দিলে তাদের এই লজ্জা পেতে হতো না। কিন্তু অনিবন্ধিত সুনির্দিষ্ট আদর্শহীন দলটি ইতোমধ্যে যেভাবে বিএনপি, জাশি থেকে শুরু করে ইসলামপন্থি দলগুলোকেও খেপিয়ে তুলেছে, তাতে তাদের পরিণতি জাসদ, সিপিবির মতো হওয়া ছাড়া ভিন্ন কিছু হবার কথা না।
ঠিক কোন কারণে মানুষ তাদের পেছনে ছুটবে? তাদের আদর্শ কী? মানুষ হয়তো দুনিয়া অথবা আখেরাত কিংবা উভয়টাই পেতে চায়। তাদের পেছনে ছুটলে আসলে ঠিক কোনটা পাবে, এটা তারা ক্লিয়ার করতে পেরেছে কি? হ্যাঁ, তাদের সম্ভাবনা ছিল। তাইতো কিছু হুজুরও যুক্ত হয়েছে। সেই সম্ভাবনা এখনো খানিকটা আছে। তবে অঙ্কুরেই বিনাশ দেখতে কারই বা ভালো লাগে! তবু যদি তাদের বুঝ হয় এবং তারা নিজেদের শুধরে নেয়! তবে চিন্তার বিষয়, জাগতিক বিভিন্ন দলের মতো কিছু পয়সা ব্যয় করে ভাড়া করে এনে কিছু লোকসমাগম তারা দেখাতে পারত। এটা না করার কী কারণ? সততা নাকি অর্থ-স্বল্পতা?
আর হ্যাঁ, হান্নান মাসউদকে শোকজ করেছে ভালো কথা; দরবেশ তানভীরকেও শোকজ করার কতদিন হয়ে গেল, মেয়াদ শেষ হবার এত সপ্তাহ পরও কোনো রেজাল্ট জানা গেছে কি? এগুলো কি আসলেই শোকজ নাকি কানামাছি খেলা, এটা এখনো স্পষ্ট না।
লেখক: খেলাফত মজলিস নেতা, লেখক ও অ্যাকটিভিস্ট
এমএইচ/