রবিবার, ২৫ মে ২০২৫ ।। ১১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ ।। ২৭ জিলকদ ১৪৪৬

শিরোনাম :
বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস ফেনী জেলা শাখার নতুন কমিটি ভারতকে মোকাবিলায় প্রতিরক্ষা খাতে বরাদ্দ বাড়াচ্ছে পাকিস্তান হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে মাওলানা আবু তাহের রাহমানী প্রিন্সিপাল মাওলানা হাবীবুর রহমানের সহধর্মিণীর ইন্তেকাল  পানি ইস্যুতে উত্তপ্ত পাক-ভারত সম্পর্ক, জাতিসংঘে সরব ইসলামাবাদ চট্টগ্রাম বন্দর কাউকে দেওয়া হচ্ছে না : প্রেসসচিব আরাফায় হাজিদের গরমের তীব্রতা থেকে বাঁচাতে বিশেষ উদ্যোগ আজকের পত্রিকার গুরুত্বপূর্ণ সব খবর ২৫/০৫/২০২৫ বিকেলে প্রধান উপদেষ্টার সংলাপে যাচ্ছে ইসলামি দলগুলো ভারত, পাকিস্তান, ইরান এমনকি চীনের কাছেও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে তালেবান

রোজাবস্থায় স্বপ্নদোষ হলে রোজা ভাঙবে কি?

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

মুফতি মোস্তফা ওয়াদুদ কাসেমী: ভার্সিটির ছাত্র মুরাদ। বয়স ১৮ । সুঠামদেহের লম্বা বালক। ওকে দেখলে কেউ বলবে না ওর বয়স ১৮। বরং ২৫ বছরের টগবগে যুবকের মতো দেখা যায়।

এখন রমজান চলছে। মুরাদ সবগুলো রোজা রাখছে। কিন্তু ওর বন্ধুদের কাছে ওর স্বপ্নদোষের কথা বললে ওরা বলে যে, মুরাদ তোর রোজা হবে না।মুরাদ চিন্তায় পড়ে যায়। তাহলে কি এতদিনের রোজা বিফলে গেলো? এদিকে ওর স্বপ্নদোষও বন্ধ হচ্ছে না। তাই সঠিক মাসআলা জানতে মুরাদ স্মরণাপন্ন হয়েছে মুফতি সাহেবের কাছে।

পূর্ণ ঘটনা বর্ণনা করে প্রশ্ন করেছে মুরাদ। রমজানে দিনের বেলা স্বপ্নদোষ হলে রোজা ভাঙবে কি? আমার এতদিনের রোজা কি সঠিক হয়েছে? দলিলসহ জানালে উপকৃত হবো।

উক্ত মাসআলার উত্তর হলো, না। স্বপ্নদোষের কারণে রোজা ভাঙবে না। সুতরাং আপনার রোজা সঠিক হয়েছে। আপনার বন্ধুদের কথা সঠিক হয়নি। মোটকথা রমজান মাসে দিনের বেলা ঘুমানোর পর যে স্বপ্নদোষ হয়। তাতে রোজা ভাঙবে না।

কেননা হাদিসে আছে, আবু সাঈদ খুদরী রা. বলেন, নবি করিম সা. বলেছেন, তিনটি জিনিস রোজা ভঙ্গের কারণ নয় । যথা- বমি, শিঙ্গা লাগানো ও স্বপ্নদোষ। (সুনানে নাসাঈ, বাইহাকী ৪/২৬৪; আদ্দুররুল মুখতার ২/৩৯৬)

তবে এ স্বপ্নদোষ স্বতঃপ্রণোদিত ভাবে না হতে হবে। এমনিভাবে যদি কোনো ব্যক্তির চিন্তায় আচমকা কোনো যৌন ভাবনা এসে উদয় হয় বা কোনো যৌন উত্তেজক চিন্তা চলে আসে যা সে স্বতঃপ্রণোদিতভাবে মাথায় আনেনি। আর এতে তার বীর্যপাত ঘটে যায় তাহলেও তার রোজা ভাঙবে না। এক্ষেত্রে হুকুম হলো, স্বপ্নদোষ হয়েছে এমনটা বোঝা মাত্রই ফরয গোসল করে নিজেকে পবিত্র করে নিতে হবে।

আর বমির ব্যাপারে হাদিসে আছে, যে ব্যক্তি অনিচ্ছায় বমি করল তার রোজা ভাঙবে না। পরে তাকে রোজাটি কাযাও করতে হবেনা। কিন্তু যে ব্যক্তি স্বেচ্ছায় বমি করল তার রোজা অবশ্যই কাযা করতে হবে। (সুনানে আবূ দাউদ- ২৩৮০)

এ সংক্রান্ত আরেকটি মাসআলা হলো, হস্তমৈথুন। কেউ যদি হস্তমৈথুন বা অন্য কোনোভাবে স্বেচ্ছায় বীর্যপাত ঘটায় তাহলে তার রোজা ভেঙে যাবে। এবং তাকে রোজার কাযা কাফফারা উভয়টি আদায় করতে হবে।

এমডব্লিউ/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ