জাল সনদ ও ভুয়া সুপারিশপত্র ব্যবহার করে মাদরাসার শিক্ষক ও কর্মচারী হওয়ার বেশ কিছু প্রমাণ পাওয়া গেছে। এজন্য এভাবে এমপিওভুক্তির আবেদনের প্রবণতা বন্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছে মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তর। এখন থেকে এমন আবেদন করলে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের প্রধানের মাসিক বেতন ভাতা (এমপিও) সাময়িকভাবে স্থগিতের পাশাপাশি দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) মামলা দায়েরের সুপারিশ করা হবে।
সম্প্রতি মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন ও অর্থ) এইচ. এম. নূরুল ইসলামের সই করা এক চিঠিতে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
অর্থ শাখা থেকে জারি করা ওই চিঠিতে বলা হয়, এনটিআরসিএ’র (বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ) সুপারিশ বা সনদ জালিয়াতি করে কিংবা নিয়োগের ক্ষেত্রে যথাযথ যোগ্যতা না থাকলেও অনেক মাদরাসা প্রধান প্রতি মাসে একই আবেদন বারবার পাঠাচ্ছেন। এতে এমপিও যাচাই-বাছাই কার্যক্রমে বিঘ্ন ঘটছে।
চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, কোনো আবেদন যদি এনটিআরসিএর ভুয়া সনদ কিংবা সুপারিশের ভিত্তিতে প্রেরণ করা হয় এবং তা বাতিল করা সত্ত্বেও সংশ্লিষ্ট মাদরাসা প্রধান পুনরায় একই আবেদন করেন, তবে তার বিরুদ্ধে এমপিও স্থগিতের পাশাপাশি দুর্নীতির অভিযোগে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এছাড়া, নিয়মিত প্রক্রিয়া অনুসরণ না করে মাদরাসা পরিচালনা কমিটির মাধ্যমে নিয়োগ দেওয়া এবং ভুয়া ডিজি প্রতিনিধির আদেশ ব্যবহার করে এমপিও আবেদন করা হলে প্রতিষ্ঠানের এমপিও কোড সাময়িক বা স্থায়ীভাবে বাতিল করা হবে বলেও চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে, শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগের পর দুই মাসের মধ্যে এমপিও আবেদন না করলে মাদরাসার প্রধানের এমপিও সাময়িকভাবে স্থগিত করা হবে। একইসঙ্গে, আবেদন বাতিল হলে নতুনভাবে আবেদন পাঠানোর সময় সুনির্দিষ্ট কারণ, প্রমাণপত্র ও সংশ্লিষ্ট ডকুমেন্ট সংযুক্ত করার নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে। মূলত, এমপিও পদ্ধতির স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতেই এমন নির্দেশনা অনুসরণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলেও জানানো হয়েছে।
এনএইচ/