ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ট্রাফিক পুলিশের হয়রানি, অতিরিক্ত অর্থ আদায়, বিনা কারণে গাড়ি জব্দ এবং লাইসেন্স সংক্রান্ত দুর্নীতির অভিযোগে দ্বিতীয় দিনের মতো অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট পালন করছে সিএনজি অটোরিকশা মালিক-শ্রমিকরা।
সোমবার (২২ জুলাই) সকাল থেকে জেলার প্রধান প্রধান সড়ক ও মহাসড়কে সব ধরনের সিএনজি অটোরিকশা চলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে যাত্রীদের চরম দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে। কর্মজীবী মানুষ, শিক্ষার্থী এবং রোগীদের গন্তব্যে পৌঁছাতে মারাত্মক ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
দুর্ভোগ আরও বাড়ে যখন বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের নন্দনপুর এলাকায় সড়ক অবরোধ করে। এর ফলে মহাসড়কের দু’পাশে প্রায় ১০ কিলোমিটার দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। যাত্রীরা বাধ্য হয়ে পায়ে হেঁটে গন্তব্যে রওনা হন।
প্রায় ৩ ঘণ্টা পর পুলিশের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে শ্রমিকরা অবরোধ তুলে নেয় এবং দুপুর ১২টার দিকে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
তবে ধর্মঘটকারীরা জানিয়েছে, তাদের তিন দফা দাবি—(১) জব্দ করা সব সিএনজি অটোরিকশা ফেরত দেওয়া, (২) পারমিট অনুযায়ী জেলায় সর্বত্র অটোরিকশা চলাচলের নিশ্চয়তা, এবং (৩) ট্রাফিক পুলিশের হয়রানি বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত ধর্মঘট চলবে।
জেলা সিএনজি অটোরিকশা শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মো. স্বপন মিয়া বলেন, "আমাদের দাবি আদায়ে আন্দোলন চলবে। প্রশাসনের আশ্বাসে মহাসড়ক থেকে অবরোধ তুলে নেওয়া হয়েছে, তবে দাবি মানা না হলে আরও কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে।"
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোজাফফর হোসেন জানান, “ধর্মঘটকারীদের দাবি নিয়ে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা করে সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।”
এসএকে/