জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের সভাপতি মাওলানা উবায়দুল্লাহ ফারুক বলেছেন, আলেম বিচ্ছিন্ন সমাজ গলাকাটা দেহের মতো। উলামায়ে কেরামের মাঝে ইলমে ওহির আলো থাকার কারণে তাঁরা মঙ্গল ও অমঙ্গল, সত্য ও মিথ্যা, বন্ধু ও শত্রু, উন্নতি ও অবনতি সঠিকভাবে নির্ণয় করতে পারেন। যে সমাজে উলামা রয়েছেন, সে সমাজ মস্তকসহ দেহের মতো সচল ও জীবন্ত। আর উলামা বিচ্ছিন্ন সমাজ গলাকাটা দেহের মতো নিষ্প্রাণ।
মঙ্গলবার (২০ মে) রাতে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর উত্তর শাখার আওতাধীন খিলক্ষেত থানা শাখা আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
জমিয়ত সভাপতি বলেন, বিশ্বায়নের মূল লক্ষ্য হলো উম্মতকে আলেম সমাজ থেকে বিচ্ছিন্ন করা। তাই ইলমে ওহির ধারক ও বাহক হিসেবে আমাদের এসব ষড়যন্ত্র ও বাতিল প্রোগ্রামের বিরুদ্ধে সচেতন হতে হবে এবং ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। আমরা যত বেশি জনসাধারণকে সম্পৃক্ত করব, তত বেশি মানুষের কল্যাণে অবদান রাখতে পারব। জমিয়তের ব্যানারে ঐক্যবদ্ধ হয়ে আমাদের এ দেশের রাজনীতিতে বলিষ্ঠ অবস্থান তৈরি করতে হবে।
সভায় সভাপতিত্ব করেন খিলক্ষেত থানা জমিয়তের সভাপতি মাওলানা নূরুল ইসলাম কাসেমী এবং সঞ্চালনা করেন যুব জমিয়তের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মাওলানা ইসহাক কামাল।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের সহ-সভাপতি মাওলানা নাজমুল হাসান কাসেমী এবং যুগ্ম মহাসচিব মুফতী কেফায়েতুল্লাহ আজহারী।
বিশেষ আলোচক হিসেবে বক্তব্য দেন ঢাকা মহানগর উত্তর শাখার সাধারণ সম্পাদক মাওলানা নূর মোহাম্মদ কাসেমী এবং কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য মুফতী হাবিবুর রহমান কাসেমী।
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর উত্তর শাখার শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা গোলাম মাওলা, প্রচার সম্পাদক মাওলানা আলী আহমদ কাসেমী, যুব জমিয়তের সাংগঠনিক সম্পাদক চৌধুরী নাসির উদ্দিন, ছাত্র জমিয়তের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নূর হোসাইন সবুজসহ যুব জমিয়ত ও ছাত্র জমিয়তের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।
সভা শেষে খিলক্ষেত থানা জমিয়তের নতুন কমিটি গঠন করা হয়। কমিটিতে সভাপতি নির্বাচিত হন মাওলানা নূরুল ইসলাম কাসেমী, সাধারণ সম্পাদক মাওলানা সালাহউদ্দীন এবং সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা ওয়াজেদুর রহমান।
এনএইচ/