মুহাম্মদ মিজানুর রহমান
রান্নায় সুগন্ধ যোগ করতেই আমরা সাধারণত লবঙ্গ ব্যবহার করি। কিন্তু এই ছোট্ট মসলা যে কত বড় স্বাস্থ্যগুণের অধিকারী, তা অনেকেই জানেন না। আয়ুর্বেদ, ইউনানি এবং আধুনিক চিকিৎসাবিজ্ঞানেও লবঙ্গের উপকারিতা স্বীকৃত।
প্রাকৃতিক ব্যথানাশক: লবঙ্গে রয়েছে ইউজেনল নামের একটি যৌগ, যা প্রাকৃতিক ব্যথানাশক হিসেবে কাজ করে। বিশেষ করে দাঁতের ব্যথায় এটি খুবই কার্যকর। ব্যথার স্থানে লবঙ্গ চিবানো বা লবঙ্গের তেল ব্যবহার করলে দ্রুত আরাম দেয়।
হজমে সহায়ক: লবঙ্গ পেটের গ্যাস, বদহজম, বমিভাব ইত্যাদি সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। এক কাপ উষ্ণ পানিতে ১-২টি লবঙ্গ দিয়ে চা বানিয়ে খেলে হজম প্রক্রিয়া উন্নত হয়।
জীবাণুনাশক ও রোগ প্রতিরোধে সহায়ক: লবঙ্গে রয়েছে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ও অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান, যা শরীরের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ায়। সর্দি-কাশি ও গলায় ব্যথা উপশমেও এটি কার্যকর।
ডায়াবেটিস ও কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে সহায়ক: গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত লবঙ্গ সেবনে রক্তে শর্করা ও কোলেস্টেরলের মাত্রা কিছুটা নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।
শ্বাসযন্ত্রের রোগে উপকারী: সর্দি, কাশি, গলা খুসখুসে ভাব ও ব্রঙ্কাইটিসে লবঙ্গের চা আরাম দেয়। এটি কফ সরাতেও সাহায্য করে।
মুখের স্বাস্থ্য রক্ষায়: লবঙ্গ জীবাণুনাশক, তাই মুখের দুর্গন্ধ দূর করে ও মুখের ক্ষত সারাতে সাহায্য করে। মাউথওয়াশ বা টুথপেস্টেও লবঙ্গ ব্যবহৃত হয়।
জ্বর ও ঠান্ডা কমাতে: লবঙ্গ, আদা ও তুলসী পাতা দিয়ে তৈরি চা সর্দি-জ্বর কমায় এবং শরীরকে চাঙ্গা রাখে।
ক্যান্সার প্রতিরোধে সম্ভাবনা: কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, লবঙ্গের অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট উপাদান ক্যান্সার কোষের বৃদ্ধি থামাতে সহায়তা করতে পারে।
স্নায়ুতন্ত্রে প্রশান্তি: লবঙ্গের সুগন্ধ ও উপাদান মানসিক চাপ কমাতে এবং ঘুম ভালো করতেও সহায়ক।
সতর্কতা:
লবঙ্গের উপকারিতা অনেক, তবে অতিরিক্ত খাওয়া উল্টো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ডেকে আনতে পারে, বিশেষ করে লিভার বা পাকস্থলীর সমস্যায়।
এনএইচ/