ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের বর্বর হামলা অব্যাহত রয়েছে। সর্বশেষ হামলাগুলোতে শিশুসহ অন্তত ৭৮ ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও অনেক বেসামরিক নাগরিক। ত্রাণ নিতে এসে নিহত হয়েছেন অন্তত পাঁচজন।
আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, গাজা শহরের বিভিন্ন এলাকায় দফায় দফায় বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। নিহতদের মধ্যে শিশু, নারী ও ত্রাণপ্রার্থী রয়েছেন।
ওয়াফা নিউজ এজেন্সির তথ্য অনুযায়ী, সোমবার দক্ষিণ গাজার রাফা এলাকায় একটি ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রের কাছে গোলাবর্ষণে নিহত হন পাঁচজন ত্রাণপ্রার্থী। এ নিয়ে মার্কিন-সমর্থিত ও ইসরায়েল-পরিচালিত ‘গাজা হিউম্যানিটেরিয়ান ফাউন্ডেশন (GHF)’–এর আশপাশে ত্রাণ নিতে এসে ইসরায়েলি হামলায় নিহত ফিলিস্তিনির সংখ্যা দাঁড়াল ৮৩৮ জনে।
দক্ষিণ গাজার খান ইউনিসে একটি বাস্তুচ্যুত শিবিরে চালানো হামলায় নিহত হয়েছেন নয়জন। এছাড়া মধ্য গাজার বুরেইজ শরণার্থী শিবিরের একটি বাণিজ্যিক ভবনে বিমান হামলায় নিহত হন আরও চারজন।
উত্তর গাজায় হামলা তীব্রতর করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। তুফাহ ও শুজাইয়া পাড়াসহ আশপাশের এলাকাগুলোতে ব্যাপক বিমান হামলা চালিয়ে অসংখ্য আবাসিক ভবন গুঁড়িয়ে দিয়েছে তারা। এসব হামলায় অন্তত ২৪ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
ইসরায়েলি গণমাধ্যম দাবি করেছে, উত্তর গাজায় ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ যোদ্ধাদের হামলায় একটি ইসরায়েলি ট্যাংক ধ্বংস হয় এবং তিন সেনা নিহত হন। এর প্রতিশোধ নিতেই ইসরায়েল ব্যাপক হামলা চালিয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
টানা অবরোধের কারণে গাজায় খাদ্য, পানি ও জ্বালানির তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। আহতদের চিকিৎসার দায়িত্বে থাকা মেডিকেল কর্মীদের ওপরও ইসরায়েলি বাহিনীর হামলা চলছে। ফলে স্বাস্থ্যসেবাও ভেঙে পড়েছে পুরোপুরি।
মানবাধিকার সংস্থাগুলো এই হামলাকে যুদ্ধাপরাধ আখ্যা দিয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।
এসএকে/