শনিবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ।। ৫ আশ্বিন ১৪৩২ ।। ২৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
বকেয়া বেতনের দাবিতে ভালুকায় শ্রমিকদের মহাসড়ক অবরোধ শিশু-কিশোর সংগঠন 'অংকুর' এর সীরাতুন্নবী সা. কুইজ প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত জুলাই সনদের ভিত্তিতে পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন চাই - খুলনা ইসলামী আন্দোলন  কাতারের মধ্যস্থতায় আফগানিস্তানে কারাবন্দি ব্রিটিশ দম্পতির মুক্তি মাদকের বিরুদ্ধে মুরাদনগরে ওলামা পরিষদের মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ পাকিস্তানে পৃথক বিস্ফোরণে নিহত অন্তত ১১ ইসলামি বইমেলা পরিদর্শনে জাতীয় মসজিদের খতিব প্রাথমিকে গানের নয়, ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগ দিতে হবে: শায়খে চরমোনাই পীর সাহেব চরমোনাইয়ের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের ‘মিট আপ’ আফগানিস্তানের বাগরাম বিমান ঘাঁটি আবারও নিয়ন্ত্রণে নিতে চায় যুক্তরাষ্ট্র

পাকিস্তানে ভয়াবহ বন্যায় মৃত্যু ২০০ ছাড়িয়েছে

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

পাকিস্তানে চলমান ভয়াবহ বন্যায় এখন পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ২০২ জন। চলতি বছরের জুনের শেষ দিক থেকে শুরু হওয়া বর্ষা মৌসুমের এ দুর্যোগে মারা যাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে ৯৬ জনই শিশু।

শনিবার (২০ জুলাই) পাকিস্তানের জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ (এনডিএমএ)-এর বরাত দিয়ে জিও নিউজ এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, নিহতদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি—১২৩ জনের মৃত্যু হয়েছে পাঞ্জাব প্রদেশে।
এছাড়া খাইবার পাখতুনখাওয়ায় ৪০ জন, সিন্ধু প্রদেশে ২১ জন, বেলুচিস্তানে ১৬ জন এবং ইসলামাবাদ ও আজাদ কাশ্মীরে একজন করে প্রাণ হারিয়েছেন।

প্রাণহানির প্রধান কারণ হিসেবে বাড়িঘর ধস, ভূমিধস ও আকস্মিক বন্যাকে দায়ী করা হয়েছে।
এর মধ্যে ১১৮ জন বাড়িঘর ধসে, ৩০ জন আকস্মিক বন্যায় এবং বাকিরা বিদ্যুৎস্পৃষ্ট, বজ্রপাত ও নদীতে ডুবে মারা গেছেন।

এ বন্যায় এখন পর্যন্ত আহত হয়েছেন অন্তত ৫৬০ জন, যাদের মধ্যে ১৮২ জন শিশু।
রাওয়ালপিন্ডিতে আকস্মিক বন্যায় বহু ঘরবাড়ি, বাজার ও সড়ক পানিতে তলিয়ে গেছে। ধামিয়াল, হাতিচক ও মর্গাহসহ কয়েকটি এলাকা পুরোপুরি প্লাবিত হয়েছে। টেঞ্চ ভাটা ও ফৌজি কলোনিতে পানি উঠে গেছে বাড়ির ছাদ পর্যন্ত।

ফয়সালাবাদে শুধু গত দুদিনে ১১ জন নিহত এবং ৬০ জন আহত হয়েছেন। দুর্বল অবকাঠামো ও বাসগৃহ ধসে এই প্রাণহানি ঘটেছে বলে স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে।

পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় উদ্ধার, ত্রাণ ও মেরামতের কাজ অব্যাহত রয়েছে।
ঝিলাম, পিণ্ড দাদন খান, কাল্লার কাহারসহ বিভিন্ন এলাকায় বন্ধ রাস্তাগুলো পুনরায় চালু করতে কাজ চলছে।
রাওয়ালপিন্ডির কারোলি ধোক ব্রিজ এলাকায় ধসে যাওয়া রাস্তায় মেরামত শেষে যান চলাচল আবার শুরু হয়েছে।

বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত বহু পরিবার জানিয়েছে, তারা নিজেরাই ঘর মেরামতের মতো আর্থিক সামর্থ্য রাখে না। তাই সরকারের কাছে তারা জরুরি সহায়তার আবেদন জানিয়েছে।

এনএইচ/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ