ইসলামিক আমিরাত আফগানিস্তানের জনস্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত এক বছরে আটটি প্রদেশে মোট ১০৫টি স্বাস্থ্যকেন্দ্র নির্মাণ করা হয়েছে। এসব কেন্দ্র নির্মাণে ব্যয় হয়েছে প্রায় ৬ মিলিয়ন ডলার। চলমান উন্নয়ন কার্যক্রমের অংশ হিসেবে মন্ত্রণালয় দেশের স্বাস্থ্যখাতে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বৃদ্ধির ওপর জোর দিচ্ছে।
মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে জানানো হয়, কন্দহার প্রদেশের মিরওয়াইস আঞ্চলিক হাসপাতালের পুনর্গঠনে চীনের সাথে প্রায় ৫০ মিলিয়ন ডলারের একটি প্রস্তাবিত অনুদানের বিষয়ে প্রাথমিক আলোচনা চলছে। একইসঙ্গে ভারতের সাথে ইন্দিরা গান্ধী হাসপাতাল সম্প্রসারণ প্রকল্প নিয়েও কথাবার্তা চলছে। অন্যদিকে, কাতার সরকার একটি বৃহৎ মা ও শিশু হাসপাতাল নির্মাণের প্রাথমিক কাজ শুরু করেছে।
শিশুদের ক্যান্সার ও জন্মগত হৃদরোগ চিকিৎসার ক্ষেত্রেও উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হচ্ছে বলে জানায় মন্ত্রণালয়। শিগগিরই এসব সেবায় আরও উন্নত সুবিধা চালু হবে।
এক যুগান্তকারী পদক্ষেপ হিসেবে, আফগানিস্তানে প্রথমবারের মতো ডিএনএ পরীক্ষার জন্য বিশেষায়িত পরীক্ষাগার স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে পরীক্ষাগার সরঞ্জাম সংগ্রহে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। এছাড়া কুন্দুজ প্রদেশে ১০ লাখ ডলারের একটি জোনাল ডায়াগনস্টিক রেফারেন্স ল্যাবরেটরি প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে জানানো হয়, মাঝারি ও তীব্র অপুষ্টিতে আক্রান্ত প্রায় ২২ লাখ মা ও শিশুকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি, ৩,৬০০ এর বেশি প্রতিবন্ধী ব্যক্তি কৃত্রিম অঙ্গ, হুইলচেয়ারসহ অন্যান্য সহায়ক ডিভাইস পেয়েছেন।
ভ্রাম্যমাণ স্বাস্থ্যসেবা দল ১১ লাখেরও বেশি মানুষকে বহির্বিভাগীয় চিকিৎসা, টিকা, যক্ষ্মা ও সংক্রামক রোগ নিরাময়সহ বিভিন্ন সেবা প্রদান করেছে।
এছাড়াও ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগ ৬৭১টি গুরুতর ও ৯১৭টি মারাত্মক মামলা তদন্তে সহায়তা করেছে। সাম্প্রতিক হজ মৌসুমে সৌদি আরবে থাকা ৩০ হাজার আফগান হাজীকে স্বাস্থ্যসেবা দেওয়া হয়েছে। এ সময় মেনিনজাইটিস ও ইনফ্লুয়েঞ্জা টিকাদান কর্মসূচিও পরিচালনা করা হয়।
জনস্বাস্থ্য রক্ষা এবং মান নিয়ন্ত্রণের অংশ হিসেবে, গত বছরে ১,০৭৭ টন নিম্নমানের ও মেয়াদোত্তীর্ণ খাদ্য ও ওষুধ জব্দ ও ধ্বংস করা হয়েছে। এছাড়া আমদানিকৃত খাদ্যপণ্যের ১৯,৪৩৬টি চালান পরীক্ষার পর বাজারজাত করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
এনএইচ/