||মুহাম্মদ মিজানুর রহমান||
প্রকৃতির অসাধারণ উপহারগুলোর মধ্যে কাঁচকলা বা কাঁচা কলা একটি বিশেষ স্থান দখল করে আছে। সাধারণত আমরা কলা ফল হিসেবে খেয়ে থাকলেও, এর কাঁচা রূপটি রান্নায় ব্যবহার করে অসংখ্য উপকারিতা অর্জন করা যায়। কারণ কাঁচকলায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, ভিটামিন বি৬, ভিটামিন সি, পটাশিয়াম ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এতে শর্করার পরিমাণ কম এবং রেসিস্ট্যান্ট স্টার্চ বা প্রতিরোধী শর্করা বেশি থাকার কারণে এটি ডায়াবেটিস রোগীদের জন্যও উপযোগী।
বাংলাদেশে কাঁচকলা সহজলভ্য একটি সবজি, যা ভর্তা, তরকারি, ভাজি, এমনকি ভাজা দিয়ে বিভিন্ন স্বাদে
রসনাকে তৃপ্ত করে। শুধু স্বাদের দিক থেকেই নয়, চিকিৎসাগত দিক থেকেও কাঁচকলার রয়েছে নানান উপযোগিতা।
হজমে সহায়ক : কাঁচকলা আঁশযুক্ত হওয়ায় হজম শক্তি বাড়ায় এবং কোষ্ঠকাঠিন্য কমাতে সাহায্য করে। যাদের হজমে সমস্যা আছে তাদের জন্য কাঁচকলা অনন্য ঔষুধ হিসেবে বিবেচিত।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সহায়ক : কাঁচকলার গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কম, তাই রক্তে শর্করার মাত্রা দ্রুত বাড়ায় না—ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপকারী। নির্দ্বিধায় ডায়াবেটিস রোগীরা এটি খেতে পারেন।
ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়ক : কাঁচকলায় ক্যালরি কম ও ফাইবার বেশি থাকায় এটি দীর্ঘক্ষণ পেট ভরাট রাখে—ওজন কমাতে সাহায্য করে। যারা ওজন কমাতে চাচ্ছে তারা সবজি হিসেবে কাঁচকলা বেশি বেশি খেতে পারেন।
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ : কাঁচকলায় প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম থাকার কারণে এটা রক্তচাপ স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে। যারা রক্তচাপের রোগে ভুগছেন তারা প্রতিদিন খাবার টেবিলে কাঁচকলার সবজি রাখতে পারেন।
অন্ত্রের সুস্থতা : কাঁচকলা প্রি-বায়োটিক হিসেবে কাজ করে, প্রি-বায়োটিক অন্ত্রের ভালো ব্যাকটেরিয়া বাড়ায়।
আয়রনের উৎস : কাঁচকলা রক্তশূন্যতা প্রতিরোধে সহায়ক ভূমিকা রাখে।
গ্যাস্ট্রিক ও আলসার প্রতিরোধে : কাঁচকলা পাকস্থলীর দেয়ালে সুরক্ষা দেয়, ফলে গ্যাস্ট্রিক ও আলসার প্রতিরোধে রাখে অনন্য ভূমিকা।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় : ভিটামিন সি, বি৬ ইত্যাদি থাকায় শরীরের ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী করে।
চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ডায়েটে কাঁচকলা যুক্ত করা স্বাস্থ্যকর সিদ্ধান্ত হতে পারে
এনএইচ/