সোমবার, ০৫ মে ২০২৫ ।। ২২ বৈশাখ ১৪৩২ ।। ৭ জিলকদ ১৪৪৬

শিরোনাম :
‘২৫ মার্চের কালরাতকেও হার মানিয়েছে শাপলা চত্বরের গণহত্যা’ কসবা সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি যুবক নিহত প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা সম্পূর্ণ বিনামূল্যে দিতে হবে : স্বাস্থ্যবিষয়ক সংস্কার কমিশন সংক্ষুব্ধ মুফতি ফয়জুল করীম, আইনি লড়াই চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা মেয়র পদ নিয়ে মুফতি ফয়জুল করীমের মামলা খারিজ ফরিদপুরের ভাঙ্গায় দুই গ্রুপের সংঘর্ষ: নিহত-১, আহত-৪০ চট্টগ্রামে সাউন্ড গ্রেনেড ও কাঁদানে গ্যাস ছুড়ে অবরোধকারীদের ছত্রভঙ্গ ৫ মে শাপলা চত্বরে গণহত্যার বিচার নিশ্চিত করতে হবে: ছাত্র জমিয়ত বাংলাদেশ ‘অখণ্ড ভারত’ মতবাদ এই অঞ্চলের সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকি ৫ মে ২০১৩: কী ঘটেছিল সেদিন ঢাকায়?

জাতীয় ঈদগাহে ঈদ জামাতের বিষয়ে যা বললেন মেয়র তাপস

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস একটি গণমাধ্যমকে বলেছেন, আমার ব্যক্তিগত মত হলো করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে উন্মুক্তস্থানের চেয়ে মসজিদের ভেতরে সুরক্ষা দেওয়া সহজ। তাই অন্তত দক্ষিণ সিটিতে যাতে মসজিদেই নামাজের ব্যবস্থা করা হয়। করোনার কারণে গত বছরও জাতীয় ঈদগাহে ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হয়নি।

এদিকে আজ বুধবার (১৪ জুলাই) ঢাকা দক্ষিণ সিটি করর্পোরেশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আবু নাসের একটি গণমাধ্যমকে বলেছেন, গত বছরের মতো এ বছরও জাতীয় ঈদগাহে ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হবে না।

তিনি বলেন, যেহেতু জাতীয় ঈদগাহে ঈদের নামাজ আয়োজন করতে দীর্ঘ প্রস্তুতি নিতে হয়, তাই সাময়িক লকডাউন শিথিলের পর এই স্বল্প সময়ে সেই আয়োজন করা সম্ভব নয়।

তবে এ বিষয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপসের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, আমি চাই গতবারের মতো এবারও ঈদ জামাত মসজিদের ভেতরে অনুষ্ঠিত হোক। যদিও ধর্ম মন্ত্রণালয় উন্মুক্তস্থানে নামাজ আদায় করা যাবে বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করেছে।

এর আগে গত মঙ্গলবার (১৩ জুলাই) ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা এক নির্দেশনায় বলা হয়, করোনাভাইরাসের স্থানীয় পরিস্থিতি ও মুসল্লিদের জীবন-ঝুঁকি বিবেচনা করা হচ্ছে। স্থানীয় প্রশাসন জনপ্রতিনিধি ও গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সঙ্গে আলোচনা ও সমন্বয় করে যথোপযুক্ত বিবেচিত হলে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের জারি করা স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে ঈদুল আজহার জামাত মসজিদ, ঈদগাহ বা খোলা জায়গায় আয়োজনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।

নির্দেশনায় বলা হয়েছে, মসজিদে ঈদের নামাজ আয়োজনের ক্ষেত্রে কার্পেট বিছানো যাবে না। নামাজের পূর্বে সম্পূর্ণ মসজিদ জীবাণুমুক্ত করতে হবে। মুসল্লিরা প্রত্যেকেই নিজ নিজ দায়িত্বে জায়নামাজ নিয়ে আসবেন।

প্রত্যেককে নিজ নিজ বাসা থেকে অজু করে মসজিদে/ঈদগাহে আসতে হবে এবং অজু করার সময় কমপক্ষে ২০ সেকেন্ড সাবান-পানি দিয়ে হাত ধুতে হবে।

করোনাভাইরাস সংক্রমণরোধ নিশ্চিতকল্পে মসজিদ/ঈদগাহে অজুর স্থানে সাবান, পানি ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার রাখতে হবে।
মসজিদ/ঈদগাহ মাঠের প্রবেশদ্বারে হ্যান্ড স্যানিটাইজার/হাত ধোয়ার ব্যবস্থাসহ সাবান ও পানি রাখতে হবে।

ঈদের নামাজের জামাতে আগত মুসল্লিকে অবশ্যই মাস্ক পরে আসতে হবে। মসজিদে সংরক্ষিত জায়নামাজ ও টুপি ব্যবহার করা যাবে না। নামাজের সময় কাতারে দাঁড়ানোর ক্ষেত্রে অবশ্যই সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করতে হবে এবং এক কাতার অন্তর অন্তর কাতার করতে হবে।

নির্দেশনায় শিশু, বয়স্ক, অসুস্থ ব্যক্তি এবং অসুস্থদের সেবায় নিয়োজিত ব্যক্তিদের ঈদের নামাজের জামাতে অংশগ্রহণ নিরুৎসাহিত করা হয়েছে। নামাজ শেষে কোলাকুলি ও হাত মেলানো থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে। খতিব, ঈমাম, মসজিদ/ঈদগাহ পরিচালনা কমিটি ও স্থানীয় প্রশাসনকে নির্দেশনাগুলো বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে হবে।

এমডব্লিউ/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ