সোমবার, ০৫ মে ২০২৫ ।। ২২ বৈশাখ ১৪৩২ ।। ৭ জিলকদ ১৪৪৬

শিরোনাম :
মেয়র পদ নিয়ে মুফতি ফয়জুল করীমের মামলা খারিজ ফরিদপুরের ভাঙ্গায় দুই গ্রুপের সংঘর্ষ: নিহত-১, আহত-৪০ চট্টগ্রামে সাউন্ড গ্রেনেড ও কাঁদানে গ্যাস ছুড়ে অবরোধকারীদের ছত্রভঙ্গ ৫ মে শাপলা চত্বরে গণহত্যার বিচার নিশ্চিত করতে হবে: ছাত্র জমিয়ত বাংলাদেশ ‘অখণ্ড ভারত’ মতবাদ এই অঞ্চলের সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকি ৫ মে ২০১৩: কী ঘটেছিল সেদিন ঢাকায়? আসুন, শাপলা হত্যার বিচার দাবিতে সোচ্চার হই মহাসমাবেশ পরবর্তী গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে হেফাজত নেতারা মাওলানা বুস্তানবীর ইন্তেকাল উম্মাহর জন্য বিশাল ক্ষতি: দেওবন্দের মুহতামিম রানীগঞ্জে জমিয়তের সঙ্গে সৈয়দ তামিম আহমদের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

‘রাজধানীতে বেশি বায়ুদূষণ শাহবাগে, শব্দদূষণ গুলশানে’

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: রাজধানীতে সবচেয়ে বেশি বায়ুদূষণ হয় শাহবাগে ও সবচেয়ে বেশি শব্দদূষণ গুলশান-২ চত্বরে। সবচেয়ে কম বায়ু ও শব্দদূষণ হয় জাতীয় সংসদ ভবন এলাকায়।

ঢাকায় বায়ু ও শব্দমানের পরিস্থিতি নিয়ে করা এক জরিপ প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে। রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে রবিবার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ কনসোর্টিয়ামের করা প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়।

প্রতিবেদন তৈরির জন্য গবেষকেরা ২০২১ সালের এপ্রিল থেকে চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত ঢাকা শহরের ১০টি স্থানে বায়ু ও শব্দের মান পর্যবেক্ষণ করে।

আহসান মঞ্জিল, আবদুল্লাহপুর, মতিঝিল, শাহবাগ, ধানমন্ডি-৩২, আগারগাঁও, জাতীয় সংসদ এলাকা, তেজগাঁও, মিরপুর-১০ ও গুলশান-২ এলাকা থেকে তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করা হয়। এই ১০টি স্থানের প্রতিটিতে দিনে-রাতে চার ঘণ্টা করে বায়ু ও শব্দের মান যন্ত্র দিয়ে পর্যবেক্ষণ করে মোট ৫২০টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়।

প্রতিবেদন তুলে ধরে বলা হয়, ঢাকার বাতাসে অতি সূক্ষ্ম বস্তুকণা পিএম ২.৫-এর উপস্থিতি আদর্শ মানের (১৫ মাইক্রোগ্রাম) চেয়ে প্রায় পাঁচ গুণ বেশি। আর পিএম ১০ বস্তুকণার উপস্থিতি আদর্শ মানের চেয়ে দুই গুণ বেশি।

শাহবাগ এলাকায় বাতাসে পিএম-২.৫-এর উপস্থিতি প্রতি ঘনমিটারে ৮৫ মাইক্রোগ্রাম। পিএম-২.৫-এর উপস্থিতি সবচেয়ে কম জাতীয় সংসদ এলাকায়, যার পরিমাণ ৭০ মাইক্রোগ্রাম।

ঢাকার ১০টি স্থানের মধ্যে গুলশান-২ এলাকায় শব্দের সর্বোচ্চ মান পাওয়া যায়। সেখানে শব্দের মান ছিল ৯৫ দশমিক ৪০ ডেসিবেল, যা আদর্শ মান (৫৫ ডেসিবেল) থেকে ১ দশমিক ৭ গুণ বেশি। গুলশান-২ এলাকায় ১৩২ ডেসিবেল পর্যন্ত উচ্চশব্দের অস্তিত্ব পাওয়া যায়।

এ ছাড়া তেজগাঁও এলাকায় ৮৯ ডেসিবেল, আবদুল্লাহপুর এলাকায় ৯৫ ডেসিবেল ও জাতীয় সংসদ এলাকায় ৩১ ডেসিবেল মাত্রার শব্দ পাওয়া গেছে।

সংবাদ সম্মেলনে তথ্য-উপাত্ত তুলে ধরেন স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়ুমণ্ডলীয় দূষণ কেন্দ্র (ক্যাপস)-এর প্রতিষ্ঠিতা পরিচালক অধ্যাপক আহমদ কামরুজ্জমান মজুমদার। তিনি বলেন, আবদুল্লাহপুর থেকে শাহবাগ পর্যন্ত এলাকায় একাধিক নির্মাণ প্রকল্পের কাজ চলছে। এ কারণে সংশ্লিষ্ট এলাকার বাতাসে পিএম ২.৫-এর উপস্থিতি অনেক বেশি।

কামরুজ্জমান মজুমদার বলেন, ঢাকাকে দূষণের হাত থেকে বাঁচানোর দায়িত্ব সবার। নীরব ঘাতক বায়ু ও শব্দদূষণ কেড়ে নিচ্ছে হাজারো প্রাণ। অসুস্থ করছে শিশুদের। চিকিৎসা ব্যয় বাড়ছে। প্রকৃতি হারাচ্ছে তার ভারসাম্য।

কনসোর্টিয়াম একটি জোট, যার অর্থায়নে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা (ইউএসএআইডি)। সহায়তায় রয়েছে কাউন্টারপার্ট ইন্টারন্যাশনাল। এ জোটে রয়েছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগ এবং স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়ুমণ্ডলীয় দূষণ কেন্দ্র (ক্যাপস)।

-এটি


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ