শনিবার, ০৭ জুন ২০২৫ ।। ২৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ ।। ১১ জিলহজ ১৪৪৬

শিরোনাম :

করলা—তিতা স্বাদের ভেতর লুকিয়ে সুস্থ জীবনের চাবিকাঠি

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

মুহাম্মদ মিজানুর রহমান

করলা তেতো স্বাদের একটি সবজি। অনেকেই করলার তিতা স্বাদের জন্য একে এড়িয়ে চলেন। আবার অনেকে কাছে করলা দারুণ পছন্দের! পছন্দের হোক বা অপছন্দের, এই সবজির প্রতিটি অংশে রয়েছে অনন্য পুষ্টিগুণ ও ওষুধি গুণাবলি। করলা শুধু রুচিবর্ধকই নয়, এটি ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ থেকে শুরু করে রোগ প্রতিরোধে কার্যকর একটি প্রাকৃতিক উপাদান। করলায় প্রচুর পরিমাণে রয়েছে— ভিটামিন এ , বি ও সি। আছে পরযাপ্ত পরিমাণে ক্যালসিয়াম, আয়রন, ম্যাগনেশিয়া, ফাইবার ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এই উপাদানগুলো শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং কোষ সজীব রাখতে সাহায্য করে।

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে করলা

করলায় উপস্থিত চ্যারানটিন (charantin) ও পলিপেপ্টাইড-পি নামক উপাদান রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। এটি ইনসুলিনের কার্যকারিতা বাড়ায় এবং টাইপ-২ ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য বিশেষভাবে উপকারী।

ক্যানসার প্রতিরোধে ভূমিকা

করলার মধ্যে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীর থেকে টক্সিন দূর করে ও কোষকে সুরক্ষা দেয়। কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, করলার নির্যাস কিছু ধরনের ক্যানসার কোষের বৃদ্ধি কমাতে পারে।

লিভার ও হজমের সহায়ক

করলা লিভার পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে এবং হজমে সহায়ক। এটি গ্যাস, কোষ্ঠকাঠিন্য ও পেটের ফাঁপা ভাব কমায়। নিয়মিত খেলে হজমশক্তি বাড়ে।

ত্বক ও চুলের জন্য

করলা ত্বক ও চুলের জন্যও উপকারী। এটি রক্তকে বিশুদ্ধ করে, যার ফলে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ে এবং চুলও স্বাস্থ্যকর থাকে।
 
করলা ওজন কমায়

করলায় ক্যালোরি কম এবং ফাইবার বেশি থাকায় এটি ওজন কমানোর জন্য ভালো। ফাইবার শরীরে দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা রাখে, ফলে খাওয়ার ইচ্ছা কমে যায়।

সতর্কতা
করলা অতিরিক্ত খেলে পেট খারাপ বা হাইপোগ্লাইসেমিয়া হতে পারে। গর্ভবতী নারীদের করলার নির্যাস পরিহার করা ভালো।

করলা শুধু তিতা নয়, এটি প্রকৃতির এক মূল্যবান উপহার। প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় করলা রাখলে শরীর থাকবে ফিট, মনও সতেজ। তাই আজই করলার তিতায় অভ্যস্ত হয়ে যান, কারণ এই তিতার মধ্যেই লুকিয়ে আছে সুস্থ জীবনের চাবিকাঠি।

এমএইচ/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ